📘 গল্পের নাম: বুনো হাঁস
✍️ লেখিকা: লীলা মজুমদার
🏫 শ্রেণি: ৫ম
📚 বিষয়: বাংলা পাঠ
📖 পরিচিতি
লীলা মজুমদারের লেখা ‘বুনো হাঁস’ গল্পটি আমাদের প্রকৃতিপ্রেম, পশুপ্রেম ও সহমর্মিতার এক অনন্য নিদর্শন। এই গল্পে দেখা যায় কিভাবে দলছুট দুটি বুনো হাঁস মানুষের আশ্রয়ে থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে এবং শীত শেষে আবার ফিরে যায় নিজেদের দেশে।
✍️ প্রশ্নোত্তর | Buno Hans Class 5 Bengali Question Answer
📝 হাতে-কলমে প্রশ্নোত্তর
১. ঠিক শব্দটি বসিয়ে বাক্য পূরণ করো:
১.১ আকাশের দিকে তাকালে তুমি দেখ মেঘ-রোদ্দুর।
১.২ হিমালয় ছাড়া ভারতবর্ষের আরেকটি পর্বতের নাম আরাবল্লী।
১.৩ এক রকমের হাঁসের নাম বালি-হাঁস।
১.৪ পাখির ডানার শোঁ শোঁ শব্দ শোনা যায়।
🔁 ২. ‘ক’ ও ‘খ’ স্তম্ভ মিলাও:
ক | খ |
বরফ | হিমানী |
বুনো | বন্য |
কুঁড়ি | কলি |
চঞ্চল | অধীর |
আরম্ভ | শুরু |
✍️ ৩. ‘ঙ্গ’ শব্দযুক্ত ৫টি শব্দ:
বঙ্গ, ভঙ্গ, রঙ্গ, অঙ্গ, সঙ্গ
⏳ ৪. ঘটনাক্রম সাজাও:
১. বুনো হাঁস দক্ষিণ দিকে উড়ে যেত।
২. হাঁসের ডানা জখম হল।
৩. আরেকটা বুনো হাঁসও এটার চারপাশে উড়ে বেড়াচ্ছে।
৪. সারা শীত কেটে গেল।
৫. দেশে ফিরে ওরা বাসা বাঁধবে, বাচ্চা তুলবে।
✒️ ৫. শূন্যস্থান পূরণ করো:
- ৫.১ লাডাকের একটা বরফে ঢাকা নির্জন জায়গাতে আমাদের জোয়ানদের একটা ঘাঁটি ছিল।
- ৫.২ জোয়ানদের মুরগি রাখার খালি জায়গা ছিল।
- ৫.৩ আস্তে আস্তে হাঁসের ডানা সারল।
- ৫.৪ দলে দলে বুনো হাঁস তিরের ফলার আকারে, কেবলই উত্তর দিকে উড়ে চলেছে।
- ৫.৫ ন্যাড়া গাছে পাতার আর ফুলের কুঁড়ি ধরল।
💬 ৬. শব্দঝুড়ি থেকে বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করো:
বিশেষ্য | বিশেষণ |
যখম | বেচারি |
লাদাক | বুনো |
বরফ | গরম |
শীতকাল | নির্জন |
তাবু | চঞ্চল |
সঙ্গী | ন্যাড়া |
✏️ ৭. ক্রিয়ার নিচে দাগ দাও:
৭.১ বাড়ির জন্য ওদের মন কেমন করত।
৭.২ পাখিরা আবার আসতে আরম্ভ করল।
৭.৩ দেশে ফিরে ওরা বাসা বাঁধবে।
৭.৪ সেখানে বুনো হাঁসরা রইল।
৭.৫ নিরাপদে তাদের শীত কাটে।
🧠 ৮. বাক্য বাড়াও:
৮.১ একদিন একটা বুনো হাঁস দল ছেড়ে নীচে ঝোপের ওপর নেমে পড়ল।
৮.২ ওরা গরম দেশে শীত কাটিয়ে, শীতের শেষে নিজেদের দেশে ফিরে যাচ্ছে।
৮.৩ লাডাক পাহাড়ের বরফ গলতে শুরু করল।
৮.৪ আবার সবুজ ঝোপঝাপ দেখা গেল।
৮.৫ ন্যাড়া গাছে পাতার আর ফুলের কুঁড়ি ধরল।
🧾 ৯. বাক্য রচনা:
- রেডিয়ো: আমি ছোটবেলায় রেডিয়োতে গান শুনতাম।
- চিঠিপত্র: আমার নামে পোস্ট অফিসে চিঠিপত্র আসে।
- থরথর: ঝোড়ো বাতাসে গাছের পাতা থরথর করে কাঁপে।
- জোয়ান: বীর জোয়ানরা সীমান্তে আমাদের দেশ রক্ষা করে।
- তাঁবু: শীতের রাতে ফাঁকা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে আমরা পিকনিক করব।
🎨 ১০. ছবি আঁকো:
🔸 শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ে থাকা বুনো হাঁসের ছবি দেখে আঁকবে ও রঙ করবে।
💬 নিজের ভাষায় প্রশ্নোত্তর
১১.১ জোয়ানদের ঘাঁটি কোথায় ছিল?
উত্তর: লাডাক অঞ্চলের বরফে ঢাকা নির্জন স্থানে।
১১.২ জোয়ানরা কী কাজ করে?
উত্তর: দেশের রক্ষা ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
১১.৩ দুটো বুনো হাঁস দলছুট হয়েছিল কেন?
উত্তর: একটি হাঁস ডানা জখম হওয়ায় এবং অপরটি তার পাশে থাকতে গিয়ে দলছুট হয়।
১১.৪ হাঁসেরা কী খেত?
উত্তর: টিনের মাছ, তরকারি, ভুট্টা, ভাত ও ফলের কুচি।
১১.৫ হাঁসেরা কখন ও কোথায় ফিরে যায়?
উত্তর: শীতের শেষে নিজের দেশে ফিরে যায়।
১১.৬ সারা শীত কীভাবে কাটল?
উত্তর: জোয়ানদের সঙ্গে আনন্দে কেটেছিল; শেষে চারিদিকে বসন্ত দেখা দিলে হাঁসেরা উড়ে যায়।
❤️ ১২.১ সহমর্মিতার গল্প
🔸 একদিন বৃষ্টির রাতে একটি ভেজা কুকুর আমার বাড়ির সামনে আশ্রয় নিয়েছিল। আমি তাকে বারান্দায় নিয়ে এসে কাঁথা দিই ও খাবার দিই। এরপর থেকে সে আমাদের পরিবারের অংশ হয়ে গেছে। সে আমার খুবই প্রিয়।
১৩.১ লীলা মজুমদারের জন্ম কোন শহরে?
উত্তর: লীলা মজুমদার কলকাতা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
১৩.২ তাঁর শৈশব কোথায় কেটেছে?
উত্তর: লীলা মজুমদারের শৈশব কেটেছে শিলং পাহাড়ে।
১৩.৩ ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর দুটি বইয়ের নাম লেখো ।
উত্তর: ছোটোদের জন্য লেখা লীলা মজুমদারের দুটি বইয়ের নাম, ‘বদ্যিনাথের বড়ি, ও ‘পদিপিসির বর্মিবাক্স’।
১৩.১ ‘বুনো হাঁস’ গল্পটি কোথা নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: লীলা মজুমদারের লেখা ‘গল্পসল্প’ বই থেকে ‘বুনো হাঁস’ গল্পটি নেওয়া হয়েছে।
এই “বুনো হাঁস” ক্লাস ৫-এর শিক্ষার্থীদের বাংলা সাহিত্য ভালোভাবে বোঝার জন্য চমৎকার একটি সহায়ক উপাদান। শিক্ষার্থীরা গল্পটি পড়ে শুধু আনন্দই পাবে না, প্রকৃতি ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতিশীলও হবে।