এতোয়া মুন্ডার কাহিনি– মহাশ্বেতা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর
✅ ১. ঠিক শব্দটি বাছাই করোঃ
১.১) গ্রামটার আদি নাম ছিল – শালগেড়িয়া
১.২) মোতি বাবু ছিলেন গ্রামের – ভগবান
১.৩) ‘এতোয়া’ শব্দটির অর্থ – রবিবার
১.৪) শূরবীর ছিলেন একজন – আদিবাসী রাজা
১.৫) ডুলং, সুবর্ণরেখা নামগুলি – নদীর
📝 ২. উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে বাক্য সম্পূর্ণ করোঃ
২.১) আর হাতিশালাটা ছিল পাথরের।
২.২) এতোয়ার দাদু বলে এক সময় এটা ছিল আদিবাসী গ্রাম।
২.৩) গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায়।
২.৪) তবে জঙ্গল তো মা।
২.৫) প্রাইমারি স্কুলের চালাঘরের কোল দিয়ে পথ।
📖 ৩. অর্থ লেখঃ
- গর্জন = গম্ভীর চিৎকার বা আওয়াজ
- বাগাল = রাখাল
- গুঞ্জন = গুন গুন শব্দ
- দুলন্ত = দুলছে এমন
- গোড়া = মূলদেশ
❎ ৪. বিপরীতার্থক শব্দ:
- পূর্বপুরুষ – উত্তরপুরুষ
- আদি – অন্ত
- কচি – বুড়ো
- শুকনো – ভেজা
- বিশ্বাস – অবিশ্বাস
🔁 ৫. সমার্থক শব্দ:
- জল – পানি, বারি, সলিল, উদক, অম্বু, নীর, জীবন
- নদী – তটিনী, তরঙ্গিনী, প্রবাহিনী, শৈবালিনী, স্রোতস্বিনী
- সমুদ্দুর – সাগর, সমুদ্র, অর্ণব, জলধি, জলনিধি
- জঙ্গল – অরণ্য, বন, কানন, কান্তার
- উলগুলান – প্রবল বিক্ষোভ, বিপ্লব, বিদ্রোহ
🔍 ৬. ক্রিয়াগুলির নীচে দাগ দাও:
৬.১) পাহারা দিত
৬.২) হিসেব করে
৬.৩) ছাড়লাম
৬.৪) নষ্ট করি নাই
৬.৫) বাঁচায়, মারে
✂️ ৭. দুটি বাক্যে ভেঙে লেখ :
৭.১) গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল। সে নাতিটার দিকে তাকায়।
৭.২) হাতিশালাটায় দেয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে। ওটা এখন ধান রাখবার গোলাঘর।
৭.৩) আমাদের কালে, সেই জঙ্গল দিয়ে চার মাইল যেতে হত। তবে পাঠশালায় পৌঁছনো যেত।
৭.৪) এখন ও লাফায় আর নদীর জল, কাশবন, বুনোফুল, আকাশ, সকলকে ডাকে। তারপর বলে সে কী ভীষণ যুদ্ধ!
৭.৫) ডুলং ও সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়। তারা বয়ে যায়।
✏️ ৮. বাক্য রচনা কর:
- পাঁচিল = আমাদের স্কুলের চারিদিকে উঁচু পাঁচিল আছে।
- চাঁদ = চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ।
- দেশ = আমাদের দেশ একটি শান্তির দেশ।
- মানুষ = পড়াশোনা করার পাশাপাশি সত্যিকারের মানুষ হওয়া খুবই জরুরী।
- জঙ্গল = আমাদের বাড়ির পাশেই জঙ্গল আছে।
📚 ৯. কোনটি কোন ধরনের বাক্য:
৯.১) স্রোত কি জোরালো! – বিস্ময়বোধক
৯.২) কচি ছেলে, কিছুই জানে না। – বর্ণনামূলক
৯.৩) সে যেন গেরুয়া জলের সমুদ্দুর। – বর্ণনামূলক
৯.৪) নামটা বদলে গেল কেন গো? – প্রশ্নবোধক
৯.৫) কী যুদ্ধ, কী যুদ্ধ! – বিস্ময়বোধক
🧠 ১০. শব্দ নির্ণয়:
- বিশেষ্য – শিকার, লড়াই
- বিশেষণ – মস্ত, বুড়ো, ভীষণ, ছোট্ট, ঝাঁকড়া, ধারালো, সরু
- সর্বনাম – আমাদের, তুই
- অব্যয় – ও
- ক্রিয়া – চরায়, রাখে, ওঠে
🧩 ১১. দুটি বাক্যকে এক করো:
১১.১) দাদু আজ এমন গল্প বললে যে সবাই শুনছিল গো!
১১.২) তুই বড্ড ভালো ছেলে রে এতোয়া!
১১.৩) এতোয়া তুই বড্ড বকিস, তোর বাপেরও এত কথা শুধাবার সাহস হতো না।
১১.৪) বাবুরা এসে আমাদের সব নিয়ে নিল।
১১.৫) আদিবাসীরা আসার ফলে মানুষ বাড়ছে।
🔡 ১২. এলোমেলো বর্ণ সাজাও:
- দি সী আ বা – আদিবাসী
- ব খা রে র্ণ সু – সুবর্ণরেখা
- গা ং ড়া র দ – দরংগাড়া
- টি ড়া পো মা – পোড়ামাটি
- ষ পু দি রু আ – আদিপুরুষ
🔠 ১৩. এলোমেলো শব্দে বাক্য:
১৩.১) ওর কাজ গোরু ছাগল চরানো।
১৩.২) তখন তারা তির ছোঁড়ে শনশন।
১৩.৩) হাজার হাজার চাঁদ আগে।
১৩.৪) আর হাতিশালাটা ছিল পাথরের।
১৩.৫) গ্রামে তো প্রতি সপ্তাহে হাট বসে।
১৪.১ লেখালেখি ছাড়াও আর কী কী কাজ মহাশ্বেতা দেবী করেছেন?
উত্তরঃ লেখালেখি ছাড়াও মহাশ্বেতা দেবী অধ্যাপনা ও সাংবাদিকতার কাজে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও তিনি অন্ত্যজ শ্রেণির মানুষের উপকারে নিজের জীবন সঁপে দিয়েছিলেন।
১৪.২ আদিবাসী জীবন নিয়ে লেখা তাঁর একটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তরঃ মহাশ্বেতা দেবী আদিবাসীদের জীবন নিয়ে অনেকগুলি বই লিখেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হল ‘অরণ্যের অধিকার’।
১৪.৩ ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।
উত্তরঃ ছোটোদের জন্যও মহাশ্বেতা দেবী বেশ কিছু বই লিখেছেন। তার মধ্যে ‘গল্পের গরু ন্যাদোশ’ বিখ্যাত।
📌 ১৫. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর নিজের ভাষায় লেখ:
১৫.১) “সেও এক ভীষণ যুদ্ধ” – কোন যুদ্ধের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ সিধু-কানুর নেতৃত্বে ১৮৫৭-৫৮ খ্রি. সাঁওতালেরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ করেছিল এখানে সেই যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে। পরিষ্কার করে বললে মুন্ডাদের উলগুলান ও সাঁওতালদের হুল বিদ্রোহের কথা বলা হয়েছে।
১৫.২) গাঁয়ের নাম হাতিঘর হল কেন?
উত্তরঃ মোতিবাবুদের পূর্বপুরুষদের একটা মস্ত হাতিশালা ছিল। হাতিশালাটা ছিল পাথরের। তাতে ছিল তিরিশটা ঘর। সেই বিশাল হাতিশালাটা থেকে গ্রামের নাম হয়ে গেল হাতিঘর।
১৫.৩) ভজন ভুক্তা এতোয়াকে কী বলত?
উত্তরঃ ভজন ভুক্তা এতোয়াকে আদিবাসী রাজার গল্প বলেছিল। তার পাশাপাশি জানিয়েছিল এতোয়া খুব ভালো ছেলে। কিন্তু সে স্কুলে যায় না বলে তার দুঃখ। গরিবদের ছেলেরা বাবুদের গোরু চরাবে, বন থেকে কাঠ আনবে। স্কুলে যেতে পারে না পেটের জ্বালায়। গরিবরা এতোয়ার মতো ছোটো ছেলেদের বাবুদের কাজে লাগিয়ে দেয়, স্কুলে পাঠায় না। অথচ এখন গ্রামেই স্কুল। অন্ধ ভজন ভুক্তা দুঃখ করে এতোয়াকে সেই কথাই বলে।
১৫.৪) হাতিঘর-এ কেমন ভাবে যাবে?
উত্তরঃ কলকাতা থেকে হাতিঘর যেতে গেলে হাওড়া রেলস্টেশন থেকে রেলগাড়ি চেপে যেতে হবে খঙ্গাপুর। সেখানে থেকে বাসে করে গুপ্তমণি মন্দিরের সামনে নামতে হবে। গুপ্তমণি থেকে রোহিণী যাওয়ার বাস পেলে ভালো, না পেলে সাত – আট মাইল হেঁটে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে যেতে হবে। যেতে । যেতে ছোট্ট নদী পার হতে হবে। রোহিণী গ্রাম পেরিয়ে। আরও দক্ষিণে যেতে যেতে পড়বে ডুলং নদী। সেই নদী। পার হয়ে আরও খানিকটা হেঁটে যেতে যেতে যেই আকাশ। ছোঁয়া শাল আর একটা অর্জুন গাছ দেখা যাবে তখনই বুঝে নিতে হবে পৌঁছে গেছি হাতিঘর-এতোয়াদের গ্রামে।
১৫.৫) এতোয়া নামটি কেন হয়েছিল?
উত্তরঃ অনেক আদিবাসীরা জন্মবারের সঙ্গে মিলিয়ে নাম রাখে। রবিবারে জন্ম হয়েছিল বলে তার নাম রাখা হয় এতোয়া।
১৫.৬) এতোয়ার রোজকার কাজ?
উত্তরঃ এতোয়ার রোজকার কাছ ছিল- গরু, ছাগল চরানো, আম কুড়ানো, কাঠ কুড়ানো, শাক ও আলু সংগ্রহ, মাছ ধরা।
১৫.৭) “এখন গ্রামে ইস্কুল, তবু…” – বক্তা কে? আগে কী ছিল?
উত্তরঃ বক্তা ভজন ভুক্তা। আগে জঙ্গল পেরিয়ে চার মাইল হেঁটে পাঠশালায় যেতে হত।
🔗 ১৬. শব্দ মিল:
- হাতি – শুঁড়
- চাল – ধান
- গ্রাম – পল্লী
- চাঁদ – জ্যোৎস্না
- পাতা – গাছ
১৭. সংকেতটি অনুসরণ করে একটি গল্প রচনা করো:
নদীর পাড়ে সূর্য অস্ত গেল। কোনো গ্রামে মাদল বাজছে। পরব এসে গেল। এখানে সব স্কুলে ছুটি পড়ে গেছে। এবারের ছুটিতে আমরা বন্ধুরা মিলে…
উত্তর: নিজে করার চেষ্টা কর।